শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

কোটচাঁদপুরে কৃষিকে জানতে শিক্ষকের দেশ ভ্রমণ 

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি 

কোটচাঁদপুরে কৃষিকে জানতে শিক্ষকের দেশ ভ্রমণ 

কৃষিকে জানতে দেশ ভ্রমণে যান শিক্ষক হারুন অর রশিদ (মুসা)। ফিরে এসে পাঠদানের পাশাপাশি আত্মনিয়োগ করেছেন কৃষি কাজে। দেশি ফলের সঙ্গে বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে অ্যাভোকাডো, আঙ্গুর, রাম বুটানসহ এবিও জাতীয় বিদেশি ফল। এ বাগানটি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের কাগমারি গ্রামে। 

জানা যায়, হারুন অর রশিদ (মুসা) কোটচাঁদপুরের কাগমারি গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। তিনি ১৯৯২ সালে আলীম পাশ করেন।

এরপর কৃষি জানতে বেরিয়ে পড়েন দেশ ভ্রমণে। ওই সময়ই ১০টি দেশ ভ্রমণ করেন শিক্ষক মুসা। গ্রামে ফিরে ১৯৯৫ সালে গড়ে তোলেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি নেন ওই বিদ্যালয়েই। 

২০০৫ সাল ১২ বিঘা জমিতে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে বাউকুল চাষ করেন তিনি। সেই থেকে চাষ শুরু। এরপর ২০০৭ সালে থাই পেযারা, ২০১১ সালে ড্রাগন, ২০১৭ সালে ৭ বিঘা জমিতে চাষ করেন উচ্চ মূল্যের অ্যাভোকাডো। 

বর্তমানে চাষ শুরু করেছেন আঙ্গুর, রাম বুটান। তবে গাছ হলেও উৎপাদন শুরু হয়নি ওই গাছে। এছাড়া  এবিও জাতীয় বিদেশি ফলের গাছও রয়েছে বাগানটিতে। চাষ রয়েছে বস্তায় আদা ও মাশরুম। ট্রায়ালে রয়েছে উচ্চমূল্যের আরও কিছু ফল গাছ বলে জানিয়েছেন তিনি। 

ইতোমধ্যে গতবছর শ্রেষ্ঠ উদ্যান চাষি ও চলতি বছর শ্রেষ্ঠ ফল চাষির জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন শিক্ষক মূসা।

তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি ছোট বেলা থেকেই চাষের উপর দুর্বলতা ছিল আমার। বিশেষ করে কৃষি জানতে ও কাজ করার আগ্রহ ছিল বেশি। সে কারণে একাডেমিক শিক্ষা শেষ করে, কৃষি জানতে ও জ্ঞান অর্জনে বেরিয়ে পড়ি দেশ ভ্রমণে। এ পর্যন্ত ১০ টি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে। আর ওসব দেশ থেকে উচ্চ মূল্যের ফলের চাষ সম্পর্কে জেনে আমার বাগানে তা চাষ করে সফলতাও পেয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে, অ্যাভোকাডো, আঙ্গুর, রাম বুটানসহ এবিও জাতীয় বিদেশি ফল। 

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান বলেন, আমি এ উপজেলায় আসার পর বেশ কয়েকবার গিয়েছি। আমিই তো তাকে তৃতীয় পুরস্কারের জন্য অফিস থেকে প্রত্যয়ন দিয়েছিলাম। তিনি ফল চাষের উপর এ পুরস্কার পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এ উপজেলায় বেশ কয়েকটি অ্যাবোকাডো বাগানের প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। সেগুলোয় গাছ হয়েছে, তবে এখনও ফল আসেনি। এ উপজেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে মুসা মাস্টারই অ্যাবোকাডো চাষ করে সফল হয়েছেন।

টিএইচ